Advertisement

Hey My Name Is Shaon Kumar Sarker. I'm A Professional Blogger.

ভোকেশনাল ৪র্থ সপ্তাহের জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ২ I General Electrical Works 2 4th week // Vocational 4th Week General Electrical Works 2

ভোকেশনাল ৪র্থ সপ্তাহের জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ২ I General Electrical Works 2 4th week // Vocational 4th Week General Electrical Works 2






সেলের গঠন , ত্রুটি এবং ত্রুটির প্রতিকার-এসএসসি ভোকেশনাল দশম শ্রেণীর জেনারেল ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ার্কস ২ এসাইনমেন্ট সমাধান-উত্তর ২০২১ ৪র্থ সপ্তাহ- এসাইনমেন্ট ২


সেলের গঠন , ত্রুটি এবং ত্রুটির প্রতিকার।

শিরােনাম: সেলের গঠন, ক্রটি এবং ক্রটির প্রতিকার

১. ভােল্টাইক সেলের ক্রটিঃ: সাধারণ বিদ্যুৎ কোষ বা সেলে তিনটি ক্রটি দেখা যায়। যথা- 

                                  ১। স্থানীয় ক্রিয়া, 
                                  ২। পােলারন বা ছেদন এবং
                                  ৩। রাসায়নিক ক্রিয়ার হ্রাস।


১। স্থানীয় ক্রিয়াঃ বাজারে সাধারণত যে দস্তা পাওয়া যায় তা বিশুদ্ধ নয়। এতে অন্যান্য ধাতুর মিশ্রণ থাকে। অর্থাৎ দস্তায় ভেজাল থাকে।


ভেজাল মিশ্রিত দস্তা এসিডে ডুবালে, এসিড ও ভেজাল মিলে ছােট ছােট স্থানীয় কোষ তৈরি করে। দুইটি ভিন্ন ধাতু এসিডের সংস্পর্শে এসে কোষ গঠন করে। এ স্থানীয় কোষগুলােতে যে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয় তা মূল বিদ্যুৎ প্রবাহের সাথে যুক্ত হয় না। পাত দুইটি বাহির হতে সংযুক্ত না থাকলে এসব স্থানীয় কোষে কারেন্ট চলতে থাকে ফলে অনায়নে দস্তার পাত ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং সেলে এসিডের শক্তি কমে যায়। এতে কোষের কার্যকারিতা ক্রমশ হ্রাস পায়। কোষের এ ক্রটিকে স্থানীয় ক্রিয়া বলে।


২। পােলায়ন বা ছেদনঃ যখন পরিবাহী তার দ্বারা ইলেকট্রোড হিসেবে ব্যবহৃত তামা ও দস্তার পাত যুক্ত করা হয় তখন সেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন ধণাত্বক হাইড্রাজেন আয়ন (H+)তামার পাতের দিকে যায় এবং তামার পাতে চার্জ দিয়ে ডিসচার্জ হয়। প্রত্যেক হাইড্রোজেন আয়ন তামার পাত হতে একটি করে ইলেকট্রন নিয়ে হাইড্রোজেন পরমাণু (H2) তে পরিণত হয়। হাইড্রোজেন আয়ন যে হারে তামার পাতে যায় হাইড্রোজেন গ্যাস সে হারে বের হয়ে আসতে পারে না।


ফলে তামার পাতের উপর একটি নিস্তড়িত বা চার্জহীন হাইড্রোজেন গ্যাসের স্তর সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় নবাগত হাইড্রোজেন আয়ন আর তামার পাতে পৌছাতে পারে না বরং চার্জহীন হাইড্রোজেন গ্যাসের উপর জমা হয়। এক সময় একই জাতীয় হাইড্রোজেন দ্বারা বিকর্ষিত হয়ে দস্তার পাতের দিকে ফিরে যায়। এতে সেলে রাসায়নিক ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ইএমএফ হ্রাস পায়। সেলের এ ধরনের ক্রুটিকে পােলারন বা ছেদন ক্রুটি বলে।


৩। রাসায়নিক ক্রিয়া হ্রাস: বেশি সময়ে ধরে ব্যবহারের ফলে সেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি কমে যায় এবং কারেন্ট প্রবাহ হ্রাস পায়।


২. ভােল্টাইক সেলের ক্রুটি দূর করার পদ্ধতি:

স্থানীয় ক্রিয়া ক্রুটি প্রতিকারের উপায়ঃ বিশুদ্ধ দস্তার দন্ড বা পাত ব্যবহার করে এ ক্রুটি এড়ানাে যায়। সাধারণ দস্তার পাতে পারদের প্রলেপ লাগাইলে স্থানীয় ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এ পদ্ধতিকে অ্যামালগ্যামেটিং অব জিংক বলে।

পােলায়ন বা ছেদন ক্রুটি প্রতিকারের উপায়: কিছু সময় পর পর তামার পাতকে ব্রাশ দিয়ে পরিস্কার করলে এ ক্রুটি দূর হয়। পদ্ধতি মােটেও ভালাে নয়। সেলে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে পােলারন ক্রুটি দূর করা যায়। যে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে সেলের পােলারন ক্রুটি দুর করা যায় সে রাসায়নিক পদার্থকে ডিপােলারাইজার বলে। ড্রাই সেলে ডিপােলাইজার হিসেবে ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। ইহা তামার পাতের চার্জহীন হাইড্রোজেনকে শােষণ করে।


রাসায়নিক ক্রিয়াহ্রাস ক্রুটি প্রতিকারের উপায়: সেলে বেশি পরিমাণে কার্যকরী পদার্থ ব্যবহার করে এবং প্রয়ােজনে এসিড যুক্ত করে রাসায়নিক ক্রিয়ার গতি বাড়ানাে যায়। সচরাচর ব্যবহৃত কম ওয়াট বা ক্ষমতার ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে প্রাইমারি সেলের অন্তর্গত বিভিন্ন ধরনের ড্রাই সেল ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এ প্রনের সেলে ইলেকট্রোলাইট হিসেবে মূলত ড্রাই বা পেস্ট বা জেল হিসেবে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় বলে এরূপ নামকরণ হয়েছে। বর্তমানে রিচার্জ্যাবল ড্রাই সেলও ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে।


৩. ড্রাই সেলের গঠন: যে সেলে ইলেকট্রোলাইট হিসেবে ড্রাই বা পেস্ট বা জেলির ন্যায় রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় তাকে ড্রাই সেল বলে। ড্রাই সেল বাস্তবে ড্রাই নয়, কারণ ইহার ইলেকট্রোলাইট ড্রাই হলে ড্রাই সেল ব্যবহার অনুপযােগি হয়। বাহ্যিক সাইজ অনুসারে ড্রাই সেল তিন ধরনের হয়।


                                (ক) ডি-টাইপ, 

                                (খ) মিডিয়াম টাইপ এবং 

                                (গ) পেন্সিল টাইপ।


যে অংশগুলাে সমন্বয়ে ড্রাই সেল গঠিত সেগুলো নিম্নরূপঃ

                    (ক) কার্বন দণ্ড

                    (খ) ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইড 

                    (গ) দস্তার পাত্র 

                    (ঘ) তামার ক্যাপ

                    (ঙ) এ্যামােনিয়াম ক্লোরাইড

                    (চ) চোষক কাগজ

                    (ছ) শক্ত কাগজ ও গালা বা পিচ, বালি ইত্যাদি।


নিচে চিত্রে ড্রাই সেলের অভ্যন্তরীণ গঠন দেখানাে হয়েছে। ড্রাই সেলে নেগেটিভ ইলেকট্রোড হিসেবে দস্তার পাত্র ব্যবহার করা হয়। এ পাত্রের মাঝখানে পজেটিভ ইলেকট্রোড হিসেবে সঠিক মাপের কার্বন দণ্ড বসানাে থাকে। এ দন্ডের উপরে পিতল বা তামার ক্যাপ লাগানাে থাকে। দস্তার পাত্রে ইলেকট্রোলাইট হিসেবে পেস্ট বা জেল এর ন্যায় এ্যামােনিয়াম ক্লোরাইড ব্যবহার করা হয়।


কার্বন দত্রে চারপাশে ডিপােলারাইজার হিসেবে ম্যাঙ্গানিজ ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়, যা সেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার উৎপাদিত পানিকে চুষে নেয়। তা না হলে দস্তার পাত্র যেন জিংক ক্লোরাইডে পরিণত হয়ে ইলেকট্রোলাইট লিক করতে পারে। কখনও কখনও ড্রাই সেল লিক গ্রুপ করার জন্য দস্তার পাত্রের চারদিকে ইস্পাতের পাতলা পাত দিয়ে মােড়ানাে থাকে। ইলেকট্রোলাইট যেন না শুকিয়ে যায় তার জন্য সেলের উপরিভাগ গালা দিয়ে বন্ধ করা হয়।


পিতলের বা তামার ক্যাপ ও গালার মাঝে খুব সামান্য ফাঁক থাকে যাতে গ্যাস সৃষ্টি হলে বের হতে পারে। এ স্থানে অনেক সময় বালিও দেওয়া হয়। এর উপর মােটা চোষক কাগজ দিয়ে মােড়ানাে হয় এবং তার উপর প্রতিষ্ঠানের লেবেল লাগানাে থাকে। প্রতিটি ড্রাই সেলের ইএমএফ ১.৫ ভােল্ট হয়। এ ধরনের সেলের অ্যাম্পিয়ার ক্ষমতা খুব কম হয়ে থাকে।


৪. ড্রাই সেলের ব্যবহারিক ক্ষেত্র: 

যে সেকল কাজে ড্রাই সেল ব্যবহার করা হয় তা হলাে: 

১। ইলেকট্রনিক ঘড়িতে 

২। ক্যালকুলেটরে 

৩। বিভিন্ন খেলনার 

৪। টরচলাইটে 

৫। রেডিও এবং টেপ রেকর্ডারে 

৬। ক্যামেরায় 

৭। রিমােট এবং 

৮। বিভিন্ন পরিমাপক যন্ত্রে।

সাগতম আমাদের ওয়েবসিট এ, আমারা প্রতিদিন নতুন নতুন টিপস এবং শিক্ষা বিষয়ইক ব্লগ পোস্ট করা হয় । আমরা নতুন কিছু আপনাদের শিক্ষাতে প্রতিদিন ব্লগ পোস্ট করি । এবং এর থেকে বড় কথা হলো আমাদের এই ব্লগ গুলি পড়ে আপনারা টাকা ইনকাম করতে পারবেন । এবং কিভাবে ফ্রীলাঞ্চিং করবেন তা সব জানতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে । ধ্যনবাদ সবাইকে । More info~

🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄

আপনি যদি এই post পছন্দ করেন বা কিছু শিখে থাকেন বলে মনে হয়, তবে দয়া করে এই পোস্টটি Social Networks যেমন Facebook, Twitter এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে শেয়ার করুন।


ঘরে বসে অনলাইনে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন ফ্রীতে -How to make money online from home CLICK HERE IT'S FREE

Post a Comment

0 Comments